ষ্টাফ রিপোর্টারঃ- টুর্নামেন্টের সাত ম্যাচ অতিবাহিত। বলা যেতে পারে একেবারে মধ্য গগনে আইপিএল। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের দিন সকালেই আচমকা কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক পরিবর্তন। দলের স্বার্থে সরে দাঁড়ালেন দীনেশ কার্তিক। ব্যাটন উঠল ২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের হাতে। কিন্তু তাতেও বদলাল না ভাগ্য। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ব্যাট–বল উভয় বিভাগেই ফের ব্যর্থ হল কেকেআর। আট উইকেটে সহজ জয় পেল মুম্বই। তাও আবার কেকেআর-এর অন্যতম মালিক বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সামনেই।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন নয়া অধিনায়ক মর্গ্যান। শুরুতে নামেন রাহুল ত্রিপাঠি এবং শুভমান গিল। কিন্তু প্রথম থেকেই একের পর এক উইকেট পড়তেই থাকে। ত্রিপাঠি, রানা, কার্তিক– ব্যাট হাতে তিনজনই ব্যর্থ। গিল ২৩ বলে করেন মাত্র ২১ রান। রাসেল ফেরেন ১২ রানে। শেষপর্যন্ত ইনিংসের হাল ধরেন মর্গ্যান এবং কামিন্স। তবে রান তোলার গতি কখনই খুব বেশি ছিল না। শেষপর্যন্ত এই জুটির সৌজন্যেই নির্ধারিত ২০ ওভারে কেকেআরের রান দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ১৪৮ রান। মুম্বইয়ের হয়ে দুরন্ত বল করেন রাহুল চাহার। চার ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নাইট বোলারদের আক্রমণ শুরু করেন রোহিত এবং ডি’কক জুটি। তবে রোহিতের থেকেও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ডি’ককই। হিটম্যান ৩৬ রান করে আউট হলেও, উলটোদিক থেকে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। তিন নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদব দ্রুত আউট হলেও শেষপর্যন্ত হার্দিক পাণ্ডিয়া তাঁকে যোগ্যসঙ্গত দেন। ফলে ১৯ বল বাকি থাকতেই অনায়াসে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় মুম্বাই। ডি’কক একাই করলেন অপরাজিত ৭৮ রান। পাণ্ডিয়ার সংগ্রহ অপরাজিত ২১ রান।কলকাতার হয়ে মাভি একটি এবং বরুণ একটি উইকেট নেন।
এই নিয়ে মুম্বাইয়ের সঙ্গে ২৭ বারের সাক্ষাতে ২১ বারই হারল কলকাতা। দিনের শুরুতেই অধিনায়ক বদল করেও বদলাতে পারল না ভাগ্য। ম্যাচে সবদিক থেকেই পর্যূদস্ত হয়েছে কেকেআর। এর মধ্যেই আবার প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের টুইট নিয়েও কিছুটা জলঘোলা হচ্ছে। এদিন সকালেই অধিনায়ক পরিবর্তনের কথা সামনে আসতেই টুইটটি করেন তিনি। একে হঠাৎ অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক, তার উপর পরপর দু’ম্যাচে হার, কিছুটা হলেও এবার চাপেই নাইট শিবির।অন্যদিকে ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে শীর্ষে উঠে এল মুম্বাই।